১) ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্যের নাম কী?
উঃ- ঋগ্বেদ।
২) সনাতন ধর্মের ভিত্তি কী?
উঃ- বেদ।
৩) বেদ কবে রচিত হয়?
উঃ- আনুমানিক ১৫০০ - ১০০০ খ্রীষ্টপূর্ব।
৪) বেদ কাদের ধর্মগ্রন্থ?
উঃ- আর্যদের।
৫) বেদের ওপর নাম কী?
উঃ- অপৌরষেয় এবং শ্রুতি।
৬) বেদের ওপর নাম অপৌরষেয় কেন?
উঃ- বেদ কোন মানুষের সৃষ্টি না। মনে করা হয় যে বেদ হল ব্রহ্মার মুখনিঃসৃত বানী। তাই বেদকে অপৌরষেয় বলা হয়।
৭) বেদের ওপর নাম শ্রুতি কেন?
উঃ- বেদের কোন লেখ্যরূপ ছিল না। শুনে শুনে বেদ মনে রাখতে হত। তাই বেদের ওপর নাম শ্রুতি।
৮) বেদ শব্দের অর্থ কী?
উঃ- বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান।
৯) বেদ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
উঃ- “বিদ" নামক শব্দ থেকে বেদ কথাটি এসেছে।যার মূল অর্থ হল জ্ঞান।
১০) বেদ ও সংহিতা কী একই জিনিস?
উঃ- হ্যাঁ বেদ ও সংহিতা একই জিনিস।বেদের একটি অংশ হল সংহিতা।
১১) বেদ পাঠের জন্য যে ছয়টি বিদ্যার প্রয়ােজন তাদের কী বলে?
উঃ- বেদাঙ্গ।
১২) বেদাঙ্গগুলি কী কী?
উঃ- শিক্ষা, ছন্দ, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, জ্যোতিষ ও কল্প।
১৩) ভারতের প্রাচীনতম লিখিত সাহিত্য কী?
উঃ- গীতা।
১৫) বৈদিক সাহিত্য দুটি ভাগে বিভক্ত কী কী?
উঃ- বেদাঙ্গ ও বেদান্ত।
১৬) বেদের ভাগ কয়টি ও কী কী?
উঃ- চারটি, (ঋকবেদ, সামবেদ, যজুবেদ, অথর্ববেদ)।
১৭) বেদের যে চারটি ভাগ আছে সেই চারটি ভাগের প্রত্যেকটি আবার কয়টি ভাগে বিভক্ত?
উঃ- চারটি, সংহিতা, ব্রাক্ষ্মন, আরন্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত।
১৮) বিভিন্ন বেদের পুরােহিতের নাম কি?
উঃ-
- ঋকবেদের পুরােহিতের নাম হােতা বা হােত্রী।
- সামবেদের পুরােহিতের নাম উদ্গতা।
- যজুরবেদের পুরােহিতের নাম অর্ধায়ু।
- অথর্ববেদের পুরােহিতের নাম ব্রহ্মা।
১৯) কোন বেদের প্রকৃতি কেমন ছিল?
উঃ- ক) ঋকবেদ এর প্রকৃতি পাঠ্যধর্মী।
খ) সামবেদের প্রকৃতি গীত ধমী।
গ) যজুরবেদের প্রকৃতি অভিনয় ধমী।
ঘ) অথর্ব বেদের প্রকৃতি রসধমী (EMOTIONAL)।
২০) বেদের মন্ত্রসংখ্যা কতগুলি?
উঃ- মোট ২০৪৩৪ টি,
- ঋকবেদের মন্ত্রসংখ্যা - ১০৫৪৯ টি।
- সামবেদের মন্ত্রসংখ্যা - ১৮৯৩ টি।
- যজুরবেদের মন্ত্রসংখ্যা - ১৯৭৫ টি।
- অথর্ব বেদের মন্ত্রসংখ্যা - ৫৯৭৭ টি।
২১) সংহিতা কী?
উঃ- বেদ চারটি ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগ আবার চারটি উপভাগে বিভক্ত। ঐ চারটি উপভাগের মধ্যে একটি হল সংহিতা। প্রতিটি বেদের মন্ত্র অংশগুলি সংহিতা নামে পরিচিত। যেখানে বিভিন্ন দেবতার বা সুক্তের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে শ্লোকাকারে কবিতার মাধ্যমে।
২২) উপবেদ কয়টি ও কী কী?
উঃ- চারটি: আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গন্ধর্ববেদ, ও অর্থশাস্ত্র।
২৩) বেদাঙ্গ কয়টি ও কী কী ও তাদের লেখকের নাম কর?
উঃ- বেদাঙ্গ ছয়টি,
- শিক্ষা - পানিনী।
- কল্প - বিভিন্ন ঋষি সম্প্রদায়।
- অষ্ট্যাধ্যোয়ী ব্যাকরন - পানিনী।
- নিরুক্ত - যাঙ্ক।
- ছন্দ- পিঙ্গলাচাৰ্য্য।
- জ্যোতিষ- গর্ন।
২৪) ব্যাকরনের প্রথম পুস্তক কোনটি?
উঃ- পানিনীর লেখা অষ্টাধ্যয়ী ব্যাকরন।
২৫) বেদের উপাঙ্গ কয়টি?
উঃ- চারটি যথা- পুরানু, মিমাংসা, ন্যায় ও ধর্মশাস্ত্র।
২৬) বেদের জ্ঞানকান্ড কয়টি ও কী কী?
উঃ- দুটি যথা - আরণ্যক ও উপনিষদ।
২৭) আরন্যক কয়টি ভাগে বিভক্ত?
উঃ- চারটি যথা ঐতেরেয়, কৌষীতকী, শতপথ ব্রাক্ষন, ছান্দোগ্য।
২৮) উপনিষদ কটি ভাগে বিভক্ত ও কি কি?
উঃ- ১২টি। যথা -
- বৃহদারণ্যক মন্ত্র।
- ছান্দোগ মন্ত্র।
- তৈত্তিরীয় মন্ত্র।
- ঐতেরেয় মন্ত্র।
- ঈশােপনিষদ মন্ত্র।
- কেন উপনিষদ।
- কঠো উপনিষদ।
- প্রশ্ন উপনিষদ।
- মুন্ডকোপনিষদ।
- মান্ডুক্যউপনিষদ।
- শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ।
- কৌষীতকী উপনিষদ।
২৯) ষড়দর্শন কি কি ও তাদের লেখককের নাম কি?
উঃ-ক) সংখ্যা দর্শন - মহর্ষি কপিল।
খ) যােগ দর্শন - পতজ্ঞলি।
গ) ন্যায় দর্শন - গৌতম।
ঘ) বৈশেষিক দর্শন - কনাদ।
ঙ) পূর্ব মিমাংসা - জৈমিনী।
চ) উত্তর মিমাংসা বেদান্ত দর্শন - ব্যাসদেব।
৩০) পুরান কটি ও কি কি?
উঃ- ১৮ টি।
৩১)কোন বেদকে অনার্যদের বেদ বলা হয়?
উঃ- অথর্ববেদ।
৩২)জাদুবিদ্যা কোন বেদে পাওয়া যায়?
উঃ- অথর্ববেদ।
৩৩) "সত্যমেব জয়তে" কথাটি কোথায় থেকে নেওয়া হয়েছে?
উঃ- মুন্ডক উপনিষদ।
৩৪)কোন বেদ সাদা ও কালো দুটি ভাগে বিভক্ত?
উঃ- যজুর বেদ।
৩৫) কোন বেদ গদ্য ও পদ্য উভয়ভাবে লিখিত হয়েছে?
উঃ- যজুর বেদ।
৩৬) জাদুবিদ্যা কোন বেদ থেকে পাওয়া যায়?
উঃ - অথর্ব বেদ।
৩৭) গান্ধর্ব বেদ কোন বেদের উপবেদ?
উঃ- সামবেদ।
৩৮) শাহজাহানের কোন পুত্র অথর্ববেদ পাঠ করেছিলেন?
উঃ- দারা।
৩৯) ঋকবেদে ওম' শব্দটি কতবার এসেছে ?
উঃ- ১০২৮ বার।
৪০) বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয়?
উঃ- উপনিষদ।
৪১) কোন বৈদিক সাহিত্যে উপনয়ন (পৈতা) সংস্কারের বিস্তারিত বিবরন পাওয়া যায়?
উঃ- শতপথ ব্রাহ্মন।
৪২) মৃত্যু বিষয়ে'প্রথম সার্বিক উপস্থাপনা দেখা যায় কোন বৈদিক সাহিত্যে?
উঃ- শতপথ ব্রাহ্মন।
৪৩) আয়ুরবেদ চিকিৎসা কোন বেদ থেকে পাওয়া যায়?
উঃ- ঋকবেদ।
৪৪) বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশে নারীকে সকল দুঃখের কারন বলা হয়?
উঃ- তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মন।
৪৫) ঋকবেদের যুগের প্রধান দেবতার নাম কি?
উঃ- ইন্দ্র।
৪৬) ঋকবেদে ‘বলি' শব্দটির অর্থ কি?
উঃ- কর নেওয়া।
৪৭) চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম কী?
উঃ- বেদাঙ্গ।
৪৮) দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী কোন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে?
উঃ- ঋকবেদের সপ্তম মন্ডলে দশরাজার কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে।
৪৯) দশরাজার যুদ্ধ কোথায় হয়েছিল?
উঃ- রাভি নদীর তীরে। পূর্বে রাভী নদীর নাম ছিল পুরুষানী।
৫০) দশরাজার যুদ্ধে কে জয়ী হয়েছিল?
উঃ- রাভী নদীর তীরে রাজা সুদাসের সাথে দশরাজার যুদ্ধ হয় এবং সেই যুদ্ধে জয়লাভ করে রাজা সুদাস।
৫১) কোন বেদে আমরা যাগযজ্ঞের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে জানতে পারি?
উঃ- যজুর্বেদ।
৫২) কোন বেদে গায়ত্রী মন্ত্র আছে?
উঃ- ঋকবেদ।
৫৩) গায়ত্রী মন্ত্র কে লিখেছেন?
উঃ- মুনি বিশ্বামিত্র।
৫৪) কোন বেদে সৃষ্টিরহস্য ও চিকিৎসাবিদ্যার কথা বলা আছে?
উঃ- অথর্ব বেদ।
৫৭) ভারতীয় শাস্ত্রিয় সংগীতের উৎস কোনটি?
উঃ- সামবেদ।
৫৫) বেদের সংহিতা ভাগে কী আছে?
উঃ- মন্ত্র।
৫৬) বেদের ব্রাহ্মন ভাগে কি আছে?
উঃ- ধর্মীয় আচর, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ নিয়ে টীকা।
৫৭) বেদের আরন্যক অংশে কী আছে?
উঃ- বানপ্রস্থ জীবনের কথা।
৫৮) বৈদিক ছন্দ কয়টি ও কি কি?
উঃ- সাতটি , যথা - গায়ত্রী, উষ্ণিক, অনুষ্টুপ, বৃহতী, পংক্তি, ত্রিষ্টুপ ও জগতী।
৫৯) বেদভাষ্য কে রচনা করেন?
উঃ- দয়ানন্দ সরস্বতী।
৬০) পঞ্চম বেদ কাকে?
উঃ- মহাভারত/পুরান/তিরুকুরুল।
৬১) ঋকবেদে কতগুলি মন্ডল আছে?
উঃ- ১০ টি।
৬২) কোথা থেকে বর্নাশ্রমের কথা জানা যায়?
উঃ- ঋকবেদের ১০ মন্ডলে বর্নাশ্রমের কোথা উল্লেখ আছে।
৬৩)কোন বেদে হিমালয়এর কথা উল্লেখ আছে?
উঃ- ঋকবেদের মধ্যে হিমালয়ের একটি শৃঙ্গ
মুনেজভান্টের কথা উল্লেখ আছে।
৬৪) ত্যাগের মন্ত্র কোন বৈদিক সাহিত্যে আছে?
উঃ - যজুরবেদ।
৬৫) মহাভারতের পুরানাে নাম কী?
উঃ- জয়সংহিতা।
৬৬) বৈদিকযুগের দেবতা গুলির নাম কর?
উঃ- পৃথ্বী (ভূমি), অগ্নি (আগুন), বরুন (বৃষ্টি), ইন্দ্র (বজ্র)। এদের মধ্যে ইন্দ্র হল প্রধান দেবতা।
৬৭) ঋকবেদে কোন নদীকে পবিত্র নদী বলা হয়?
উঃ- সরস্বতী।
৬৮) উপনিষদের সংখ্যা কতগুলি?
উঃ- ১০৮ টি।
৬৯) কোন গ্রন্থে "বঙ্গ" কথাটি প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়?
উঃ- ঋকবেদের ঐতেরীয় আরন্যকে।
৭০) সপ্তসিন্ধু বলতে কোন নদী গুলিকে বলা হয়েছে?
উঃ- সিন্ধু ও সিন্ধুর পাঁচটি শাখা নদী বিতস্তা, আসকিনী, বিপাস, পারুষনি, সূতুদ্রী ও সরস্বতীকে নিয়ে সপ্তসিন্ধু গঠিত ছিল।
0 মন্তব্যসমূহ