ভারতের সংবিধানের ধারা:

ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার সময় মূল সংবিধানে ৮টি তপশিল,২২ টি পার্ট ও ৩৯৫ টি ধারা ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন সংশোধনীর ফলে ভারতের সংবিধান ১২ টি তপশিল,২৪ টি পার্ট ও ৪৪৮ টি ধারা সম্মিলিত বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান।




👉ভারতীয় ইউনিয়ন ও তার ভূখণ্ড(১-৪).

  •  ১ নং ধারা: ভারতের ইউনিয়ন ও ভূখণ্ডগত এলাকা।
  •  ২ নং ধারা: নতুন রাজ্যের সূচনা ও গঠন।
  •  ৩ নং ধারা: রাজ্যের সীমানা পরিবর্তন বা ভূখন্ড গত এলাকার পরিবর্তন ও রাজ্যের নাম পরিবর্তন।
  •  ৪ নং ধারা: নতুন রাজ্যের সূচনা, রাজ্যের সীমানা পরিবর্তন- ইত্যাদির জন্য সংবিধানের প্রথম ও চতুর্থ তপশীলের সংশোধন জনিত ব্যবস্থা।



👉নাগরিকতা(৫-১১).
  •  ৮ নং ধারা: যে সমস্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যাক্তি ভারতের বাইরে বসবাস করছে তাদের বিশেষ নাগরিকত্বের অধিকার প্রদান।
  •  ৯ নং ধারা: যে সমস্ত ব্যাক্তি বিদেশী কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকতা গ্রহন করেছে তারা ভারতীয় নাগরিক হিসাবে গন্য হবেন না।
  •  ১০ নং ধারা: নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ১১ নং ধারা: পার্লামেন্ট নাগরিকতার বিষয়টি আইন প্রণয়নের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করবে।



👉মৌলিক অধিকার (১২-৩৫).
  •  ১২ নং ধারা: রাষ্ট্রের সংজ্ঞা ও বর্ণনা।
  •  ১৩ নং ধারা: মৌলিক অধিকারগুলির সাথে সংগতিহীন আইন অথবা মৌলিক অধিকারগুলিকে খর্ব করে এমন আইন বাতিলযোগ্য।
  •  ১৪ নং ধারা: সাম্যের অধিকার।
  •  ১৫ নং ধারা: জাতি ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী, পুরুষ, জন্মস্থান ইত্যাদি নির্বিশেষে যেকোনো প্রকার বৈষম্যকে নিষিদ্ধকরণ।
  •  ১৬ নং ধারা: সরকারি চাকুরিতে পুরুষ ও মহিলাদের সমানাধিকার থাকবে।
  •  ১৭ নং ধারা: অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধকরণ।
  •  ১৮ নং ধারা: এই ধারার অধিনে ভারত সরকার ‘ভারতরত্ন’ ও ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কার প্রদান করেন।
  •  ১৯ নং ধারা:
(১) বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার।
(২) শান্তিপূর্ণ ভাবে ও নিরস্ত্র ভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার।
(৩) সমিতি বা সঙ্ঘ গঠনের অধিকার।
(৪) ভারতের সর্বত্র স্বাধিন ভাবে চলার অধিকার।
(৫) ভারতীয় ভূখণ্ডের যেকোনো অংশে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার।
(৬) যেকোনো বৃত্তি অবলম্বন করার অথবা যেকোনো উপজীবিকা, ব্যাবসা বানিজ্য করবার অধিকার।

  •  ২০ নং ধারা: কোনো অপরাধের জন্য নাগরিককে বিধি বহির্ভূত ও অতিরিক্ত শাস্তি প্রদান করা যাবে না।
  •  ২১ নং ধারা: জীবন ও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতার সংরক্ষণ। কোনো ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তাকে যত শীঘ্র স ম্ভব গ্রেফতারের কারন জানাতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার বেশী আটকে রাখা যাবেনা।
  •  ২১(ক) নং ধারা:প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান।
  •  ২২ নং ধারা: গ্রেফতার ও আটক রাখার বিরুদ্ধে সংরক্ষণ মূলক ব্যবস্থা। কোনো ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হলে অতি সত্ত্বর গ্রেফতারের কারন জানানো।
  •  ২৩ নং ধারা: বল প্রয়োগ দ্বারা পরিশ্রম করানো , বেগার খাটানো নিষিদ্ধকরন।
  •  ২৪ নং ধারা: ১৪ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের কলকারখানা , খনী বা অন্য কোনো বিপদজনক কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।
  •  ২৫ নং ধারা: সকল ব্যাক্তিই সমান ভাবে বিবেকের স্বাধীনতা অনুসারে ধর্ম স্বীকার , ধর্মাচরন এবং ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা ভোগ করবে।
  •  ২৬ নং ধারা: প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় নিজের ধর্মীয় সংগঠন ও কার্যাদি পরিচালনা করতে পারবে।
  •  ২৭ নং ধারা: ধর্মের কারনে কোনো ব্যাক্তিকে কর দিতে বাধ্য করা যাবে না।
  •  ২৮ নং ধারা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহনের বিষয়টি তাদের ইচ্ছাধীন।
  •  ২৯ নং ধারা: কোনো অঞ্চলের সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালীন সেই অঞ্চলে মৌলিক অধিকারের উপর বিধিনিষেধ আরপিত হতে পারে।
  •  ৩০ নং ধারা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ নিজেদের পছন্দমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে।
  •  ৩২ নং ধারা: মৌলিক অধিকার গুলি কে বলবৎ করার জন্য পাঁচটি লেখ বা আদেশ জারী সংক্রান্ত বিষয়াদি।
  •  ৩৫ নং ধারা: মৌলিক অধিকারগুলি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন।


👉রাষ্ট্রের নির্দেশমূলক নীতিসমূহ(৩৬-৫১).
(Directive Principles of State Policy)

  •  ৩৬ নং ধারা: রাষ্ট্রের সংজ্ঞা।
  •  ৩৯(ক) নং ধারা:  ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দিন-দরিদ্রদের জন্য বিনা অর্থে আইনগত সাহায্যদান।
  •  ৪০ নং ধারা: পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা ও গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
  •  ৪৩ নং ধারা: জীবনধারণের উপযুক্ত মজুরী প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও গ্রামের কুটির শিল্পের প্রসার ইত্যাদি।
  •  ৪৪ নং ধারা: রাষ্ট্র সমগ্র ভারতে একই দেওয়ানী বিধি (Uniform Civil Code) প্রবর্তনের চেষ্টা করবে।
  •  ৪৫ নং ধারা: ছয় বছর বয়সের নীচের সিশুদের প্রতি যত্ন নিতে হবে এবং তাদের শিক্ষার জন্য বন্দ্যোবস্ত করতে হবে।
  •  ৪৬ নং ধারা: তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেনিগোষ্ঠীর মানুষদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষন ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র সচেস্ট হবে।
  •  ৪৭ নং ধারা: রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাবে ও পুষ্টিকর খাদ্যের মান উন্নয়ন।
  • ৪৮ নং ধারা: কৃষিব্যবস্থা ও পশুপালন ব্যবস্থাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গড়ে তুলবে এবং গাভী অন্যান্য গৃহপালিত পশুর হত্যা নিষেধ করবে।
  •  ৪৮(ক) নং ধারা: রাষ্ট্র পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ঘটাবে এবং বন ও বন্যপ্রনীর সংরক্ষণ করবে।
  •  ৪৯ নং ধারা: রাষ্ট্র ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধগুলি ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির সংরক্ষণ করবে।
  •  ৫০ নং ধারা: রাষ্ট্র দেশের বিচারব্যবস্থাকে শাসন বিভাগ থেকে মুক্ত রাখবে।
  •  ৫১ নং ধারা: রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করবে।


👉মৌলিক কর্তব্যসমূহ[৫১(ক)].

১. সংবিধানকে মান্য করতে হবে এবং সংবিধানের আদর্শ, প্রতিষ্ঠানসমূহ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।

২. যেসব মহান আদর্শ দেশের স্বাধীনতার জন্য জাতীয় সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছিল, সেই গুলিকে শোষণ ও অনুসরণ করতে হবে।

৩. ভারতের সার্বভৌমিকতা, ঐক্য ও সংহতি কে সমর্থন ও সংরক্ষণ করতে হবে।

৪. দেশ রক্ষা ও জাতীয় সেবা কাজে আত্মনিয়োগ এর জন্য আহুত হলে সাড়া দিতে হবে।

৫. জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা ও হিংসার পথ পরিহার করতে হবে।

৬. বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, মানবিকতাবোধ, অনুসন্ধিৎসা, সংরক্ষণমূলক মনোভাবের প্রসারসাধন করতে হবে।

৭. আমাদের দেশের মিশ্র সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্য কে মূল্য প্রদান ও সংরক্ষণ করতে হবে।

৮. বনভূমি, হ্রদ, নদী, বন্যপ্রাণীসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নতি এবং জীবজন্তুর প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশ করতে হবে।

৯. সবক্ষেত্রে জাতীয় উন্নতির উৎকর্ষ বজায় রাখার জন্য ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সব কাজের চরম উৎকর্ষের জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

১০. ধর্মগত, ভাষাগত, অঞ্চলগত বা শ্রেণীগত বিভেদের ঊর্ধ্বে থেকে সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে ঐক্য ও ভাতৃত্ববোধ কে সম্প্রসারিত করতে হবে এবং নারীজাতির মর্যাদা হানিকর সব প্রথাকে পরিহার করতে হবে।

১১. ২০০২ সালে ৮৬তম সংবিধান সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে যে, ৬-১৪ বছর বয়সের প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি হলো পিতা-মাতা ও অভিভাবকের মৌলিক কর্তব্য।



👉ভারতের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি(৫২-৭৩).
  •  ৫২ নং ধারা: ভারতের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন।
  •  ৫৩ নং ধারা: কেন্দ্রের শাসন সংক্রান্ত ক্ষামতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হবে।
  •  ৫৪ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি।
  •  ৫৫ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির নির্বাচন।
  •  ৫৬ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির শাসনকার্যের সময়কাল ও শর্ত। তিনি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
  •  ৫৭ নং ধারা: রাষ্ট্রপতি পুনঃনির্বাচিত হতে পারেন।
  •  ৬০ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহন।
  •  ৬১ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির ইমপিচমেন্ট বা পদচ্যুতি সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ৬২ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে উপরাষ্ট্রপতি তাঁর পদে আসীন হন। তবে দু’মাসের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতির জন্য নির্বাচন করতে হয়।
  •  ৬৩ নং ধারা: ভারতের একজন উপরাষ্ট্রপতি থাকবেন।
  •  ৬৪ নং ধারা: ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে (Ex-Officio) রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।
  •  ৬৫ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্বভার বহন করবেন উপরাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি অনুপুস্থিত থাকালিন সময়ে রাষ্ট্রপতিপদে আসীন হবেন।
  •  ৬৬ নং ধারা: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি।
  •  ৭০ নং ধারা: আকস্মিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষামতা।
  • ৭২ নং ধারা: রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রদর্শন করার ক্ষমতা।



👉কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ ও অ্যাটর্নি- জেনারেল(৭৪-৭৮).
  •  ৭৪ নং ধারা: রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শ দেবার জন্য কেন্দ্রে একটি মন্ত্রীপরিষদ থাকবে।
  •  ৭৫ নং ধারা: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার গঠন প্রনালী।
  •  ৭৬ নং ধারা: ভারতে একজন অ্যাটর্নি- জেনারেল থাকবেন।
  •  ৭৭ নং ধারা: কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যপ্রণালী বা শাসনপ্রনালী।
  •  ৭৮ নং ধারা: প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য রাষ্ট্রপতিকে সরকার বা মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্ত বিষয়ে অবহিত করা।



👉ভারতীয় পার্লামেন্ট (৭৯-১২৩).

  •  ৭৯ নং ধারা: পার্লামেন্টের গঠনতন্ত্র।
  •  ৮০ নং ধারা: রাজ্যসভার গঠনপ্রণালী।
  •  ৮১ নং ধারা: লোকসভার গঠনপ্রণালী।
  •  ৮২ নং ধারা: জনগণনার পর পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের আসন সংখ্যার পরিবর্তন বা সংশোধন।
  •  ৮৪ নং ধারা: পার্লামেন্টের সদস্য হবার যোগ্যতা।
  •  ৮৮ নং ধারা: পার্লামেন্টের সদস্য না হয়েও পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে অ্যাটর্নি- জেনারেল বক্তব্য রাখতে পারবেন।
  •  ৮৯ নং ধারা: রাজ্যসভায় একজন চেয়ারম্যান ও একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান থাকবেন।
  •  ৯৩ নং ধারা: লোকসভায় একজন স্পীকার ও একজন ডেপুটি স্পীকার থাকবেন।
  •  ৯৭ নং ধারা: লোকসভার স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যানের বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত বিষয়। এঁদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার হয় ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে।
  •  ৯৯ নং ধারা: পার্লামেন্টের সদস্যদের শপথ গ্রহন।
  •  ১০০ নং ধারা: পার্লামেন্টের ভোটদান পদ্ধতি ও কোরাম (Quorum) সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ১০১ নং ধারা: পার্লামেন্টের আসন শূন্য হলে।
  •  ১০৬ নং ধারা: পার্লামেন্টের সদস্যদের বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত বিষয়াদি।
  •  ১০৭ নং ধারা: বিল উত্থাপন ও পাস সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ১০৮ নং ধারা: বিশেষ ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন আহ্বান।
  •  ১১০ নং ধারা: কেন্দ্রীয় অর্থবিলের সংজ্ঞা।
  •  ১১২ নং ধারা: সংসদের উভয় কক্ষে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়।
  •  ১১৫ নং ধারা: পার্লামেন্টের অতিরিক্ত ও সহায়ক অর্থ মঞ্জুর।
  •  ১১৬ নং ধারা: votes on account, votes of credit.
  •  ১১৭ নং ধারা: অর্থ বিষায়ক বা রাজস্ব বিল (Financial bill) সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ১১৮ নং ধারা: পার্লামেন্টের আইন পেশের পদ্ধতি।
  •  ১২০ নং ধারা: পার্লামেন্টে ব্যবহৃত ভাষা।
  •  ১২২ নং ধারা: পার্লামেন্টের কার্যাদিসমূহ আদালতের এক্তিয়ারভক্ত বিষয় নয়।
  •  ১২৩ নং ধারা: পার্লামেন্টের অবসরকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা।



👉সুপ্রিমকোর্ট (১২৪-১৪৭).
  •  ১২৪ নং ধারা: ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের গঠনতন্ত্র।
  •  ১২৫ নং ধারা: বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা।
  •  ১৩০ নং ধারা: সুপ্রিমকোর্টের আসন।
  •  ১৩৬ নং ধারা: অন্যান্য আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট বিশেষ অনুমতি দিতে পারে।
  •  ১৪১ নং ধারা: সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ বা আদেশ দেশের সমস্ত আদালত মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
  •  ১৪৩ নং ধারা:  রাষ্ট্রপতি আইন সংক্রান্ত প্রশ্নে সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন।
  •  ১৪৫ নং ধারা: সুপ্রিমকোর্টের পরিচালনার নিয়মকানুন।



👉ভারতের নিয়ন্ত্রক ও মহাগননা পরীক্ষক (The Comptroller and Auditor-General of India) (১৪৮-১৫১).
  •  ১৪৮ নং ধারা: ভারতে একজন নিয়ন্ত্রক ও মহাগণনা পরীক্ষক থাকবেন।
  •  ১৫০ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির হিসাবপত্র কিভাবে সংরক্ষিত হবে তা নিয়ন্ত্রক বা মহগণনা পরীক্ষকের পরামর্শ অনুসারে রাষ্ট্রপতি স্থির করবেন।



👉রাজ্যপাল (১৫২-১৬৭).
  •  ১৫২ নং ধারা: রাজ্যের সংঞ্জা (Defination of State)।
  •  ১৫৪ নং ধারা: রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষামতা (Executive Power of State) রাজ্যপালের হতে ন্যস্ত।
  •  ১৬১ নং ধারা: রাজ্যপালের ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষমতা।
  •  ১৬৩ নং ধারা: রাজ্যপালকে ‘সাহায্য ও পরামর্শ’ প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রির নেতিত্বে একটি মন্ত্রীপরিষদ থাকবে এবং রাজ্যপাল সেই পরামর্শ মেনে তাঁর দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পালন করবেন। তবে ‘স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা’ ভোগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য নন।
  •  ১৬৩(১) নং ধারা: রাজ্যপাল স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা ভোগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন।
  •  ১৬৪ নং ধারা: রাজ্যপাল মন্ত্রিসভাকে অর্থাৎ সরকারকে নিযুক্তি করেন।
  •  ১৬৫ নং ধারা: রাজ্যের অয়াদ্ভকেত-জেনারেল পদের স্বীকৃতি।
  •  ১৬৭ নং ধারা:  রাজ্যপালকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করা মুখ্যমন্ত্রির কর্তব্য।



👉অঙ্গরাজ্যের আইনবিভাগ (State Legislature) (১৬৮-২১৩).
  •  ১৬৮ নং ধারা: রাজ্যবিধানসভার (Legislative Assembly) গঠন।
  •  ১৭১ নং ধারা: রাজ্য বিধানপরিষদের (Legislative Council) গঠন।
  •  ১৭৪ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার অধিবেশন, অধিবেশন আহ্বান ও স্থগিত বা ভেঙ্গে দেওয়া।
  •  ১৭৫ নং ধারা: রাজ্যপাল রাজ্য আইনসভার উভয় কক্ষে বক্তব্য রাখতে পারেন বা বার্তা পাঠাতে পারেন।
  •  ১৭৭ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার সদস্য না হয়েও অ্যাডভোকেট-জেনারেল রাজ্য আইনসভায় বক্তব্য রাখতে পারেন।
  •  ১৭৮ নং ধারা: রাজ্য বিধানসভায় একজন স্পীকার ও অপর একজন ডেপুটি স্পীকার থাকেন।
  •  ১৮২ নং ধারা: রাজ্য বিধানপরিষদে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান থাকেন।
  •  ১৮৭ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার সচিবালয়।
  •  ১৯১ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার সদস্য দের যোগ্যতা হারানো।
  •  ১৯২ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার কোনো সদস্যর সদস্যপদের যোগ্যতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই হল চূড়ান্ত।
  •  ১৯৮ নং ধারা: রাজ্যের অরথবিল কেবলমাত্র বিধানসভাতেই উত্থাপন করা যায় এবং অরথবিল পাশের পদ্ধতি।
  •  ১৯৯ নং ধারা: রাজ্যের অরথবিলের সংজ্ঞা।
  •  ২০০ নং ধারা: রাজ্যপাল রাজ্য আইনসভা কর্তৃক অনুমোদিত কোনো বিলে তাঁর সম্মতি প্রদান করে রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিলটিকে সংরক্ষণ করতে পারেন এবং তাঁর কাছে পাঠাতে পারেন।
  •  ২০২ নং ধারা: রাজ্য সরকারের বাজেট।
  •  ২০৬ নং ধারা: votes on account.
  •  ২০৮ নং ধারা: রাজ্য আইনসভার কার্যপদ্ধতি।
  •  ২১২ নং ধারা: আদালত রাজ্য আইনসভার কাজকর্মে কোনো হস্তক্ষেপ বা অনুসন্ধান চালাতে পারবেনা।
  •  ২১৩ নং ধারা: রাজ্যপালের অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারী করার ক্ষমতা।



👉হাইকোর্ট (২১৪-২৩২).
  •  ২১৪ নং ধারা: রাজ্য হাইকোর্টের উপস্তিতি।
  •  ২১৫ নং ধারা: হাইকরতগুলি অভিলেখ আদালত হিসাবে কাজ করে।
  •  ২১৬ নং ধারা: হাইকোর্টের গঠন।
  •  ২১৮ নং ধারা: সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টে বিশেষ আপীল সংক্রান্ত বিষয়।
  •  ২২৪(ক) নং ধারা: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের প্রয়োজনে পুনরনিয়োগ।
  •  ২২৫ নং ধারা: হাইকোর্টের ক্ষমতা বা বিচার করার এক্তিয়ার বা এলাকা।
  •  ২৩০ নং ধারা: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হাইকোর্টের এলাকা বা এক্তিয়ার।


👉রাজ্য অধস্তন আদালতসমূহ (২৩৩-২৩৮).
  •  ২৩৩ নং ধারা: জেলা জজ বা বিচারপতিদের নিয়োগ।



👉কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ (২৩৯-২৪২).

  •  ২৩৯ নং ধারা:কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
  •  ২৩৯(ক) নং ধারা:কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির জন্য বিশেষ সংবিধানিক ব্যবস্থা।
  •  ২৩৯(খ) নং ধারা: আইনসভার অধিবেশনে বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অর্ডিন্যান্স বা আধ্যাদেশ জারী করার ক্ষমতা।
  •  ২৪০ নং ধারা: কতকগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা ভোগ।



👉পঞ্চায়েত (২৪৩-২৪৩{O}).
  •  ২৪৩ নং ধারা: পঞ্চায়েতের সংজ্ঞা।
  •  ২৪৩(A) নং ধারা: গ্রাম সভা।
  •  ২৪৩(C) নং ধারা: পঞ্চায়েতের গঠন।
  •  ২৪৩(D) নং ধারা:পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষন।
  •  ২৪৩(F) নং ধারা:পঞ্চায়েতের সদস্যদের যোগ্যতা।
  •  ২৪৩(K) নং ধারা:পঞ্চায়েতের নির্বাচন পদ্ধতি ও বিষয়।
  •  ২৪৩(N) নং ধারা: পঞ্চায়েতের আইনকানুন।



👉পৌরব্যবস্থা(২৪৩P-২৪৩ZG).

  •  ২৪৩(P) নং ধারা: পৌরব্যবস্থার সংজ্ঞা।
  •  ২৪৩(W) নং ধারা: পৌরসভার ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও দায়িত্বসমূহ।
  •  ২৪৩(ZA) নং ধারা: পৌরসভার নির্বাচন।



👉তপশিল ও উপজাতিভুক্ত অঞ্চল(২৪৪-২৪৪A).
  •  ২৪৪ নং ধারা: তপশিলভুক্ত ও উপজাতিভুক্ত অঞ্চলগুলির জন্য বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  •  ২৪৪(A) নং ধারা: আসাম রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল এর জন্য স্বাস্থ্য সংস্থা গঠন করা।



👉কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে আইনগত সম্পর্ক(২৪৫-২৫৫).
  •  ২৪৫ নং ধারা: পার্লামেন্ট ও রাজ্য আইনসভা আইন প্রণয়নে এক্তিয়ার।
  •  ২৫১ নং ধারা: জাতীয় স্বার্থে এবং জরুরী অবস্থায় পার্লামেন্ট প্রণীত কোনো আইনের সঙ্গে কোনো রাজ্য আইনসভার আইনের অসঙ্গতি হলে পার্লামেন্ট এর আইনই বলবৎ হবে এবং পার্লামেন্টের আইন বলবৎ থাকাকালীন সময় রাজ্য আইনের অসঙ্গতিপূর্ণ অংশ প্রযুক্ত হবে না।
  •  ২৫২ নং ধারা: দুই বা ততোধিক রাজ্য আইনসভা প্রস্তাব গ্রহনের মাধ্যমে অনুরোধ করলে পার্লামেন্ট রাজ্য তালিকাভুক্ত নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে স্বাভাবিক অবস্থাতেও আইন প্রনয়ন করতে পারেন।



👉কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক সম্পর্ক(২৫৬-২৬৩).
  •  ২৫৬ নং ধারা: কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি প্রশাসনিক এক্তিয়ার। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যসরকারগুলিকে যেকোনো নির্দেশ দিতে পারে।
  •  ২৫৭ নং ধারা: কতকগুলি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কিন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির উপর নিয়ন্রন আরোপ করতে পারে।
  •  ২৬১ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্যর প্রশাসনিক সম্পর্ক।
  •  ২৬২ নং ধারা: আন্তঃরাজ্যের নদী ও নদী উপত্যকাগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বিরোধ ধারা যে সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত মিমাংসার জন্য পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করতে পারে।
  •  ২৬৩ নং ধারা: আন্তঃরাজ্য পরিসদ গঠন।



👉কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক(২৬৪-২৯৩).
  •  ২৬৪ নং ধারা:  কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাখ্যা।
  •  ২৬৮ নং ধারা: কতগুলি কর আছে যা আরোপ করে কেন্দ্রে, কিন্তু সংগ্রহ ও ভোগ করে রাজ্যগুলি। স্ট্যাম্প কর, ঔষধপত্র ও প্রসাধন সামগ্রীর ওপর কর এই শ্রেনির অন্তর্ভুক্ত। তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কর ধার্য ও সংগ্রহ করে কেন্দ্র।
  •  ২৬৯ নং ধারা: কতগুলি কর আরোপ ও সংগ্রহ করে কেন্দ্র কিন্তু সংগৃহীত অর্থ রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করা হয়। এই বণ্টনের নীতি নির্ধারিত হয় পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের মাধ্যমে। অ-কৃষি সম্পত্তির উপর উত্তরাধিকার কর সম্পত্তি কর,সংবাদপত্র অ বিজ্ঞাপনের উপর কর প্রভৃতি এই শ্রেনি অন্তর্ভুক্ত।
  •  ২৭০ নং ধারা: কতকগুলি কর আছে যা কেন্দ্রীয় সরকার আরোপ ও সংগ্রহ করে, কিন্তু সংগৃহীত অর্থ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে বন্টিত হয়। আয়কর ও উৎপাদন শুল্ক এই শ্রেনির কর।
  •  ২৭৪ নং ধারা: কর সম্পর্কিত সেইসব বিল উত্থাপনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পূর্ণ অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক যে সব বিল রাজ্যের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।
  •  ২৭৫ নং ধারা: নির্দিষ্ট কতকগুলি রাজ্যকে কেন্দ্রের আর্থিক অনুদান প্রদান।
  • ২৭৬ নং ধারা: বৃত্তি, পেশা, ব্যবসা ও চাকুরির উপর রাজ্য-সরকার কর্তৃক আরোপিত কর।
  • ২৮০ নং ধারা: অর্থ কমিশন গঠন ও ভূমিকা।
  • ২৮২ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্য তাদের সংগৃহীত রাজস্ব থেকে খরচের ব্য্যভার বহন করে। তবে প্রয়োজনে রাজ্যকে কেন্দ্র অনুদান ও ঋণ প্রদান করতে পারে।
  • ২৮৬ নং ধারা: রাজ্য সরকার কর্তৃক কর আরোপের উপর নিয়ন্ত্রন। আমদানি বা রপ্তানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের উপর রাজ্য সরকার কোনো বিক্রয় কর ধার্য করতে পারবে না।
  • ২৮৭ নং ধারা: ভারত সরকার বা ভারত সরকারের কোনো সংস্থা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া রাজ্যগুলি তাঁর উপর কোনো বিদ্যুৎ কর আরোপ করতে পারবে না।
  • ২৯২ নং ধারা: কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ভিতর থেকে বা বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
  • ২৯৩ নং ধারা: রাজ্যগুলি কেবলমাত্র দেশের ভেতর থেকেই ঋণ গ্রহণ করতে পারে।



👉সম্পত্তির অধিকার(৩০০A).
  • ৩০০(A) নং ধারা: আইনস্বীকৃত কর্তৃপক্ষ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে তার সম্পতির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাই বর্তমানে সম্পতির অধিকার একটি আইন স্বীকৃত অধিকার হিসাবে গন্য হয়।



👉ব্যাবসা-বানিজ্য ও লেনদেন(৩০১-৩০৭).

  • ৩০২ নং ধারা: পার্লামেন্ট ব্যবসা-বাণিজ্য ও যেকোনো লেন্দেনের ওপর প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রন আরোপ করতে পারে।
  • ৩০৪ নং ধারা: অঙ্গরাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে ব্যবসা, বানিজ্য ও লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রন আরোপ।



👉রাষ্ট্রকৃত্যক(৩০৮-৩১৪).
  • ৩০৯ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্যেসরকারী কর্মচারীদের নিয়োগ ও চকরির শর্তাবলী।
  • ৩১০ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারী কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ বা কার্যকাল।
  • ৩১২(A) নং ধারা: বিশেষ বিশেষ চাকরির ক্ষেত্রে চাকরির শর্তাদির পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা পার্লামেন্টের উপর অর্পণ করা হয়েছে।



👉রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশন (৩১৫-৩২৩).
  • ৩১৫ নং ধারা: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির জন্য রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশন গঠন।



👉নির্বাচন (৩২৪-৩২৯A).
  • ৩২৪ নং ধারা: নির্বাচন পরিচালন, তত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন (Election Commission) গঠন করা হয়েছে।
  • ৩২৫ নং ধারা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকই নির্বাচন প্রক্রিয়ায়  অংশগ্রহণ করতে পারবে।
  • ৩২৭ নং ধারা: কেন্দ্রীয় আইনসভার নির্বাচনের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষমতা।
  • ৩২৮ নং ধারা: রাজ্যআইনসভার নিরাবচনের ক্ষেত্রে রাজ্য আইনসভার ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষমতা। তফশিলী জাতি, তফশিলী উপজাতি ও অন্যান্য শ্রেনিগুলি জন্য বিশেষ সংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ (৩৩০-৩৩৮).
  • ৩৩০ নং ধারা: লোকসভায় তফশিলীজাতি, তফশিলী উপজাতি শ্রেনীদ্বয়ের জন্য আসন সংরক্ষণ।
  • ৩৩১ নং ধারা: লোকসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুটি আসন সংরক্ষিত থাকবে।
  • ৩৩২ নং ধারা: রাজ্যবিধানসভায় (Legislaitve Assembly of State) তফশিলী জাতি,তফশিলী উপজাতি শ্রেনিদ্বয়ের জন্য আসন সংরক্ষন।
  • ৩৩৩ নং ধারা: রাজ্য বিধানসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি আসন সংরক্ষন থাকবে।
  • ৩৩৪ নং ধারা: ৬০ বছর পরে আসন সংরক্ষন ও বিশেষ প্রতিনিধিত্বের বাতি করা হবে।
  • ৩৩৭ নং ধারা: ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য বিশেষ শিক্ষামূলক ভাতা প্রদান।



👉Scheduled Areas(৩৩৯-৩৪২).
  • ৩৪০ নং ধারা: পশ্চাৎপদ শ্রেনিগুলির অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিশন নিয়োগ।
  • ৩৪১ নং ধারা: তপশিলি জাতির সংঞ্জা।
  • ৩৪২ নং ধারা: তফশিলি উপজাতির সংজ্ঞা।



👉সরকারী ভাষা(৩৪৩-৩৫১).
  • ৩৪৩ নং ধারা: কেন্দ্রের সরকারী ভাষা।
  • ৩৪৫ নং ধারা: রাজ্যের সরকারী ভাষা বা ভাষাসমূহ।
  • ৩৪৬ নং ধারা: কেন্দ্রের সঙ্গে বা আন্তঃরাজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সরকারী ভাষাই ব্যবহার করতে হবে।
  • ৩৪৮ নং ধারা: আদালতের রায়, ডিক্রী বা নির্দেশ জারীর ক্ষেত্রে ইংরেজি ব্যবহার করতে হয়।
  • ৩৫০ নং ধারা: প্রত্যেক ব্যক্তি প্রচলিত যে কোনো একটি ভাষাই কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কাছে নিজের অভিযোগ ও তার প্রতিকারের আবেদন জানাতে পারে।
  • ৩৫০(A) নং ধারা: প্রথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় শিক্ষা দান করা যাবে।
  • ৩৫০(B) নং ধারা: রাষ্ট্রপতি ভাষাগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একজন বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ করতে পারেন।
  • ৩৫১ নং ধারা: হিন্দী ভাষার উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য কেন্দ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্দেশ দিতে পারবে।



👉জরুরী অবস্থা সংক্রান্ত ব্যবস্থা(৩৫২-৩৬০).
  • ৩৫২ নং ধারা: জাতীয় জরুরী (National Emergency) অবস্থার ঘোষণা।
  • ৩৫৫ নং ধারা: জরুরী অবস্থকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য রাজ্যগুলিকে বহিরাক্রমন ও অভ্যন্তরীন গোলযোগের হাত থেকে রক্ষা করা।
  • ৩৫৬ নং ধারা: রাজ্য শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থার ঘোষণা (অঙ্গরাজ্যের রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করতে পারেন) বা রাষ্ট্রপতি শাসন(President’s Rule)।
  • ৩৫৯ নং ধারা: রাষ্ট্রপতি বিশেষ ঘোষণাবলে সামগ্রিকভাবে সকল মৌলিক অধিকার স্থগিত রাখতে বা বাতিল করে দিতে পারেন।
  • ৩৬০ নং ধারা: আর্থিক জরুরী অবস্থার ঘোষণা।



👉বিবিধ(৩৬১-৩৬৮).
  • ৩৬৫ নং ধারা: কেন্দ্রের আইনের সঙ্গে সঙ্গতি বা সামঞ্জস্য রক্ষা করে রাজ্য সরকারগুলিকে আইন প্রনয়ন ও শাসন করতে হবে। নচেৎ রাষ্ট্রপতি শাসন ঘোষিত হবে।
  • ৩৬৮ নং ধারা: পার্লামেন্টের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি।



👉অস্থায়ী ও বিশেষ ব্যবস্থা(৩৬৯-৩৯২).
  • ৩৭০ নং ধারা: জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা থাকলেও বর্তমানে এই ধারাটি বাতিল করা হয়েছে।
  • ৩৭১ নং ধারা: মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ৩৭১(A) নং ধারা: নাগাল্যান্ড রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ৩৭১(B) নং ধারা: আসাম রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ৩৭১(C) নং ধারা: মণিপুর রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ৩৭১(D) নং ধারা: অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • ৩৭১(E) নং ধারা: অন্ধ্রপ্রদেশে ‘কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ( Central Univer sity ) স্থাপন।
  • ৩৭১(F) নং ধারা: সিকিম রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা।
  • ৩৭১(G) নং ধারা: মিজোরাম রাজ্যের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা।
  • ৩৭১(H) নং ধারা:  অরুণাচল প্রদেশের জন্য বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা।
  • ৩৭১(I) নং ধারা: গােয়া রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা।
  • ৩৭৭ নং ধারা: নিয়ন্ত্রণ ও মহাগণনা , পরীক্ষকের ( CAG ) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ।
  • ৩৭৮ নং ধারা: রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশন ( PSC ) সম্পর্কিত ব্যবস্থা ।
  • ৩৭৮(A) নং ধারা: অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার কার্যকালের মেয়াদ সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা।

3 মন্তব্যসমূহ