ভারতের পৌর শাসন ব্যবস্থা:(Municipal system of India).

১. পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা (১) গ্রামীণ ও (২) পৌর।


২. ৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে শহরাঞ্চলে কত ধরনের স্থানীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে?

উঃ- ৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেগুলি হল- 

(১) নগর পঞ্চায়েত (Nagar Panchayet)। 

(২) পৌর পরিষদ (Municipal Councils)। 

(৩) পৌরনিগম (Municipal Corporation)।


৩. ৭৪ তম সংবিধান-সংশােধন আইনে পৌরসভায় মহিলাদের জন্য কত আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে?

উঃ- ৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে পৌরসভায় মােট আসনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।


৪. ৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে প্রতিটি পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ কত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে?

উঃ- ৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনে প্রতিটি পৌরসভার কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর হবে বলা হয়েছে।


৫. ৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনের বৈশিষ্ট্য কি?

উঃ- ৭৪তম সংবিধান-সংশােধন আইনের উল্লেখযােগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল- 

(১) শহরাঞ্চলে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার যথা নগর পঞ্চায়েত, পৌর পরিষদ, পৌরনিগম গঠনের কথা বলা হয়েছে। 

(২) পৌরসভার মােট আসনের এক-তৃতীয়াংশ তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৬. পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ক-টি পৌরসভা এবং ক-টি পৌরনিগম রয়েছে?

উঃ-পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ১২১টি পৌরসভা এবং ৬টি পৌরনিগম রয়েছে।


৭. পশ্চিমবঙ্গের পৌরনিগম গুলির নাম কি?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গের পৌরনিগমগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, চন্দননগর, দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি।


৮. ছােটো বা মাঝারি শহরের স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানকে কী বলা হয়?

উঃ- ছােটো বা মাঝারি শহরের স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভা বলা হয়।


৯. পৌরসভার অর্থ কী?

উঃ- পৌরসভার অর্থ হল শহরের স্থানীয় সরকার।


১০. পৌরসভা কাকে বলে?

উঃ- নির্বাচিত কাউন্সিলারবৃন্দ ও রাজ্য সরকার কর্তৃক মনােনীত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলার পরিষদকে বলা হয় পৌরসভা (Municipality)।


১১. আধুনিক ভারতের পৌর শাসনব্যবস্থার যাত্রা কবে শুরু হয়?

উঃ- আধুনিক ভারতের পৌর শাসনব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয় ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড রিপনের একটি ঘােষণার মধ্য দিয়ে।

১২. পশ্চিমবঙ্গ পৌর বিল কত খ্রিস্টাব্দে গৃহীত হয়?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গ পৌর বিল ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ জুলাই গৃহীত হয়।


১৩. জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রাণীগুলোকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?

উঃ- জনসংখ্যার ভিত্তিতে পৌরালগুলিকে ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়।


১৪. পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ক-টি পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে ও কী কী?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩টি পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে, যথা (১) পৌরসভা, (২) স-পরিষদ চেয়ারম্যান, (৩) চেয়ারম্যান।


১৫. পৌরসভার সদস্যদের কী বলা হয়?

উঃ- পৌরসভার সদস্যদের বলা হয় কাউন্সিলার।


১৬. পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভার নির্বাচিত প্রধানের পদের নাম লেখাে?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভার নির্বাচিত প্রধানের পদের নাম হল চেয়ারম্যান।


১৭. স-পরিষদ চেয়ারম্যানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাে?

উঃ- স-পরিষদ চেয়ারম্যানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল-

(১) ছােটো ছােটো গাড়ির নথিভুক্তকরণ (Registration) ও নম্বর প্রদান করা। 

(২) কুয়াে, টিউবওয়েল, জলাশয় প্রভৃতি খননের জন্য অনুমতি দেওয়া।


১৮. পৌরসভার দুটি কমিটির নাম লেখাে?

উঃ- পৌরসভার দুটি কমিটির নাম হল বরাে কমিটি এবং ওয়ার্ড কমিটি।


১৯. পৌরসভায়  কাকে বলা হয়?

উঃ- পৌরসভায় প্রতিটি নির্বাচনি এলাকাকে এক-একটি ওয়ার্ড বলা হয়।

২০. ওয়ার্ড কমিটি কী?

উঃ- বর্তমানে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত দুটি কমিটির একটি ওয়ার্ড কমিটি। তিন লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট অঞ্চলের এক বা একাধিক ওয়ার্ড নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়। ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ৭ জন ও সর্বাধিক ১৭ জন সদস্য থাকতে পারে। এই কমিটি গঠনের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত পৌরসভা গ্রহণ করে। সাধারণত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হন।


২১. ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ও সর্বাধিক কত জন সদস্য থাকতে পারে?

উঃ- ওয়ার্ড কমিটিতে সর্বনিম্ন ৭ জন ও সর্বাধিক ১৭ জন সদস্য থাকতে পারে।


২২. বরাে কমিটি কীভাবে গঠিত হয়?

উঃ- তিন লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট পৌরসভাগুলিতে একটি করে বরাে কমিটি গঠন করা হয়। পৌরসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলারদের প্রথম সভায় ওয়ার্ডগুলিকে ৫টি বরাতে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি বরাের জন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে একটি করে বরাে কমিটি গঠন করা হয়।


২৩. কলকাতা মিউনিসপ্যাল কর্পোরেশনের বরাে কমিটির সদস্য কারা?

উঃ- কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বরাে কমিটি যে সমস্ত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়, সেই সমস্ত ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলাররা বরাে কমিটির সদস্য হয়।


২৪. পৌরসভার বরাে কমিটির প্রধান কাজ কী?

উঃ- বরাে কমিটি স-পরিষদ মেয়রের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করে এবং নিজ এলাকার পৌর কার্যাবলি দেখাশোনা করাই বরাে কমিটির প্রধান কাজ।


২৫. বরাে কমিটি কী?

উঃ- বর্তমান পৌর আইনের একটি অন্যতম বিষয় হল বরাে কমিটি। এই কমিটির আইন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি রাজ্য। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডকে ১৫টি বরােতে বিভক্ত করা হয়েছে।


২৬. পৌরসভার কমিটির সংখ্যা ক-টি?

উঃ- পৌরসভার কমিটির সংখ্যা ৬টি (২০০২ খ্রি. অনুযায়ী)।

২৭. পৌরসভার প্রধান ক্ষমতাগুলি কী কী?

উঃ- পৌরসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায় ৬৩-৬৬ নং ধারায় বর্ণিত হয়েছে। পৌরসভার কার্যাবলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- 

(১) আবশ্যিক কার্যাবলি।

(২) স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলি।

(৩) রাজ্য সরকার কর্তৃক হস্তান্তরিত কার্যাবলি।


২৮. পৌরসভায় আবশ্যিক কার্যাবলির সংখ্যা কটি?

উঃ- পৌরসভার আবশ্যিক কার্যাবলির সংখ্যা ৪৯টি।


২৯. পৌরসভার দুটি আবশ্যিক কাজ উল্লেখ করাে?

উঃ- পৌরসভার আবশ্যিক কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- 

(১) বেআইনি গৃহনির্মাণ বন্ধ করা।

(২) পয়ঃপ্রণালী ও জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।


৩০. কলকাতা পৌর নিগমের একটি কাজ লেখাে?

উঃ- কলকাতা পৌর নিগমের একটি কাজ হল জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা।


৩১.পৌরসভার দুটি পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলি লেখাে?

উঃ- পৌরসভার পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল-

(১) পথের ধারে বৃক্ষরােপণ করা।

(২) রাস্তার নামকরণ ও বাড়ির নম্বর প্রদান করা।

৩২. পৌরসভার দুটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যাবলি লেখাে?

উঃ- পৌরসভার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি হল-

(১) জনগণের ব্যবহার্য কূপ, পুষ্কারিণী ও জলের অন্যান্য উৎসের রক্ষণাবেক্ষণ করা। 

(২) জনসাধারণের রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতার বৃদ্ধিসাধনের জন্য টিকাদানের ব্যবস্থা করা।


৩৩. পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ- পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে ৬৪নং ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।

(১) পূর্ত বিষয়ক কার্যাবলি।

(২) শিক্ষা বিষয়ক কার্যাবলি।

(৩) জনস্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক কার্যাবলি।

(৪) প্রশাসন বিষয়ক কার্যাবলি।

(৫) উন্নয়ন বিষয়ক কার্যাবলি।

৩৪. পৌরসভার দুটি স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলি উল্লেখ করাে?

উঃ- পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল-

(১) গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন ও প্রয়াত গুণী ব্যক্তির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। 

(২) দুর্ভিক্ষ, বন্যা বা ভূমিকম্পের সময় ত্রাণকার্যের ব্যবস্থা করা।


৩৫. পৌরসভার দুটি অর্পিত কাজ উল্লেখ করাে?

উঃ- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌর আইনের ৬৫নং ধারায় পৌরসভার অর্পিত কাজের তালিকায় ১৭টি বিষয় উল্লেখ করা আছে। তার মধ্যে দুটি হল-

(১) তপশিলি জাতি-উপজাতির কল্যাণসাধন।

(২) খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও নিয়ন্ত্রণ করা।


৩৬. নাগরিক সনদ (Citizen's Charter) বলতে কী বােঝায়?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গ পৌর (সংশােধনী) আইন অনুযায়ী ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রত্যেকটি পৌরসভার কাউন্সিলার পরিষদকে নিয়ে একটি নাগরিকদের সনদ (Citizen's Charter) গড়ে ওঠে। নাগরিক সনদ হল নাগরিক অধিকারের লিখিত রূপ। এই সনদে নাগরিক পরিসেবা, লাইন্সেস প্রদান, শংসাপত্র প্রদান প্রভৃতি বিষয় লিখিত থাকে।


৩৭. কোন পৌর আইনে 'অঞ্চল সভা' গঠনের কথা বলা হয়েছে?

উঃ- ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের পৌর আইনে 'অঞ্চল সভা গঠনের কথা বলা হয়েছে।


৩৮. পৌরসভাগুলির যে-কোনাে দুটি আয়ের উৎস উল্লেখ করাে?

উঃ- পৌরসভাগুলির আয়ের দুটি উৎস হল -

(১)নিজস্ব সূত্রথেকে প্রাপ্তর অর্থ এবং 

(২) রাজ্য সরকার দ্বারা প্রদেয় আর্থিক অনুদান।

৩৯. পৌরসভার আয় গুলো কোথায় জমা হয়?

উঃ- পৌরসভার আয় গুলো পৌর তহবিলে জমা হয়।


৪০. পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলির আয়ের একটি উৎস উল্লেখ করাে?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভাগুলির আয়ের অন্যতম উৎস হল জমি ও বাড়ির উপর আরােপিত সম্পত্তি কর।


৪১. কলকাতা পৌরনিগমের প্রথম নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?

উঃ- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন নতুন আইনকে অনুসরণ করে প্রথম কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


৪২. কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে ক-টি ওয়ার্ড রয়েছে?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে বর্তমানে (২০১৭) ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪১ থেকে ১৪৪ হয়েছে।

৪৩. কলকাতা কর্পোরেশনে বর্তমানে কত জন কাউন্সিলার রয়েছেন?

উঃ- বর্তমানে (২০১৭) কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমে ১৪৪ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।


৪৪. কলকাতা কর্পোরশনের মােট সদস্য সংখ্যা কত?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশনের মােট সদস্য সংখ্যা হল ১৫০।


৪৫. কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান শাসনবিভাগীয় সংস্থা কোনটি?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান শাসনবিভাগীয় সংস্থাটি হল—স-পরিষদ মেয়র।


৪৬. কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সভায় কে সভাপতিত্ব করেন?

উঃ- কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি।


৪৭. স-পরিষদ মেয়র কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

উঃ- স-পরিষদ মেয়র (Mayor-in-Council) গঠিত হয় (১) একজন মেয়র (Mayor), (২) একজন ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) এবং (৩) কর্পোরেশনের অনধিক ১০ জন নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে।


৪৮. কর্পোরেশনের স পরিষদ মেয়রের সদস্যদের কে মনােনীত করেন?

উঃ- কর্পোরেশনের স-পরিষদ মেয়রের সদস্যদের মনােনীত করেন মেয়র।


৪৯. মেয়র কাকে বলে? 

উঃ- মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধানকে মেয়র বলা হয়।


৫০. মেয়র কে কে নির্বাচন করেন?

উঃ- নির্বাচিত কাউন্সিলাররা কর্পোরেশনের প্রথম সভায় নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে মেয়র হিসেবে নির্বাচন করে থাকে।


৫১. মেয়রের সাধারণ কার্যকালের মেয়াদ কত বছর?

উঃ- মেয়রের সাধারণ কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর।


৫২. মেয়রের দুটি কাজ লেখাে?

উঃ- মেয়রের উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল-

(১) স পরিষদ মেয়রের সভার আলােচ্য বিষয়সূচি গুলি নির্ধারণ করে দেওয়া। 

(২) স-পরিষদ মেয়রের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করা মেয়রের আর-একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

৫৩. মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মুখ্য কার্যনির্বাহক কী নামে পরিচিত?

উঃ- মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মুখ্য কার্যনির্বাহক কমিশনার নামে পরিচিত।


৫৪. কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি আবশ্যিক কাজ লেখাে?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি আবশ্যিক কাজ হল-

(১) পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের স্থান নির্মাণের ব্যবস্থা করা। 

(২) অস্বাস্থ্যকর এলাকাগুলিকে স্বাস্থ্যকর করে তােলা।


৫৫. কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি স্বেচ্ছাধীন কাজ লেখাে?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশনের দুটি স্বেচ্ছাধীন কাজ হল-

(১) পৌরনিগমের কর্মচারীদের জন্য ও আধিকারিকদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

(২) মাল বহনের জন্য গ্যারেজ নির্মাণ ও সংরক্ষণ করা।


৫৬. কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমের আয়ের দুটি উৎস লেখাে?

উঃ- কলকাতা কর্পোরেশন বা পৌরনিগমের আয়ের মূল উৎস হল-

(১) বিজ্ঞাপনের উপর ধার্য কর।

(২) জরিমানা আদায়।


0 মন্তব্যসমূহ