রাষ্ট্রপতি কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে পারেন। তার ক্ষমা করার ক্ষমতার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও ক্ষমা করা অন্তর্ভুক্ত। তবে রাষ্ট্রপতি এই দায়িত্ব পালন করেন আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে। ভারতের সংবিধানের ৭২ নং ধারায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা লিপিবদ্ধ করা আছে।রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা বিচারবিভাগীয় নিরীক্ষনের (Judicial Review) আওতায় পড়ে না।
- পার্ডন (Pardon): পার্ডন এর অর্থ হল অপরাধীকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দেওয়া অর্থাৎ তাকে আর কোনোরূপ শাস্তি না দেওয়া।
- রিপ্রাইভ (Reprive): রিপ্রাইভ এর অর্থ হল কোনো শাস্তি প্রদানে অস্থায়ী স্থগিতাদেশ এর মাধ্যমে অপরাধীকে সাময়িক ভাবে শাস্তি গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়।
- রেসপাইট (Respite): বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো শ্রমপ্রদানকারী শাস্তি কমিয়ে অপেক্ষাকৃত কম শ্রমমূলক শাস্তি প্রদান।
- রেমিশন (Remission): এক্ষেত্রে শাস্তির ধরন না বদলে শুধুমাত্র তার সময়কালকে কমানো হয়। কিন্তু শাস্তির প্রকৃতি একই থাকে।
- কমিউটেশন (Comutation): কমিউটেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে কোনো কঠোর শাস্তিকে সাধারণ বা সহজে পালনীয় শাস্তিতে বদলে দেওয়া যায়।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তকে ক্ষমা প্রদর্শনের সাংবিধানিক অধিকার কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতিরই রয়েছে।
১৬১ নং ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালও রাষ্ট্রপতির মতো সবকটি ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু তিনি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তকে ক্ষমা করতে পারেন না।
যদিও, তিনি কমিউটেশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তকে স্বস্তি (Relief) দিতে পারেন। (by changing death sentence to life imprisonment)
0 মন্তব্যসমূহ